আজ ১৭ জুন, ২০২১, “বিশ্ব খরা ও মরুকরণ প্রতিরোধ দিবস”। সময়ের সঙ্গে পরিবর্তিত হচ্ছে বিশ্ব। প্রাকৃতিক দুর্যোগের নানা পরিবর্তনের মধ্যে জলবায়ুর কুপ্রভাবে বিশ্বে মরুকরণ একটি উল্লেখযোগ্য সমস্যা।
বিশ্বের জলভূমির ৭০ শতাংশ ইতিমধ্যে মরুকবলিত হয়ে পড়েছে, যার পরিমাণ পৃথিবীর মোট ভূমির চার ভাগের এক ভাগ। নিষ্কাশনে অব্যবস্থা ও লবণাক্ততার কারণে সেচের আওতাধীন আবাদি জমির বিশাল অংশ অবক্ষয়ের সম্মুখীন। মরুকরণ ভবিষ্যৎ পৃথিবীর জন্য এক বিশাল হুমকি। এ জন্য মরুকরণ বিস্তার রোধ করা প্রয়োজন। বাংলাদেশে প্রথম ১৯৯৫ সালে বিশ্ব মরুকরণ প্রতিরোধ দিবস পালিত হয়।
উত্তরাঞ্চলের রাজশাহীকে কেন্দ্রবিন্দু ধরে নগর থেকে ৪০ কিলোমিটার পশ্চিমে কাঁকনহাটে জাতীয়ভাবে প্রথমবারের মতো এই দিবস পালিত হয়। বিশেষত রাজশাহী অঞ্চল এ সমস্যাকবলিত অঞ্চল হিসেবে চিহ্নিত। অত্যন্ত জরুরি হলেও বিশ্ব খরা ও মরুকরণ প্রতিরোধ দিবস এ দেশে বিশেষ গুরুত্ব বিস্তার করতে পারেনি। তবে মরুকরণ রোধে বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় সরকারের পরিবেশবান্ধব বৃক্ষরোপণ কার্যক্রম বিশেষভাবে গৃহীত হয়েছে, যা প্রশংসার দাবিদার। মরুকরণ বিস্তার রোধে অধিক বৃক্ষরোপণই হচ্ছে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ কাজ।
১৯৭৫ সালে প্রথমবারের মতো জাতিসংঘের পক্ষ থেকে খরা ও মরুকরণের প্রতি সোচ্চার হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানানো হয়। এ ধারাবাহিকতায় ১৯৭৭ সালে নাইরোবিতে বিশ্ব মরুকরণবিরোধী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ১৯৯২ সালে রিও ডি জেনিরোয় অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের পরিবেশ ও উন্নয়ন-বিষয়ক সম্মেলনের পরপরই মরুকরণ সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক কনভেনশন গ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু হয়।