*** আজকাল দেখা যায় মাস্কের প্রতি মানুষের অনীহা, সামাজিক দূরত্বের তোয়াক্কা না করার কারনে করোনা / অমিক্রনের মত ভাইরাসজনিত রোগগুলো সারাদেশে বেড়ে যাবে । চিকিৎসার খরচ, সময়, জীবন বাঁচানোর চাইতে নিয়ম মানা অনেক সহজ । বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবারের করোনাকে সুনামী/ঝড় ঘোষনা করেছেন । তাই সতর্কতা অনেক জরুরী । গবেষণায় দেখা যাচ্ছে আমাদের দেশে মার্চ মাসে করোনা বেশী ছড়ায়। কিন্তু এই করোনা / অমিক্রনের ঢেউ খুবই দ্রুত আরও আগে হওয়ার কথা জানাচ্ছেন অনেক গবেষক ।
*** যার কারনে শিক্ষায় যেমন ব্যাঘাত ঘটবে, দেশের অর্থনীতিতে প্রভাব পড়বে, গরীব আরও গরীব হতে থাকবে; এমনকি সামাজিক মধুর সম্পর্কগুলো নষ্ট হয়ে যাবে । যদি আমাদের শ্লোগান ভিন্ন হয়, তবে কি খুব ভুল হরে !? “নিজেকে আমরা সুস্থ্য রাখি এবং গরীবদেরকে দুমুঠো ভাত খাওয়ার সুযোগ করি ।” কারন করোনার দুই ঢেউয়ে আমাদের দেশে প্রায় তিন কোটির উপরে মানুষ গরীব হয়েছে ।
*** কেন ব্র্যান্ডিং করতে হবে ? কারন আমরা আইন বা কথারই গুরুত্ব দিই না, হয় বাধ্য করতে হয় অথবা সুন্দর ও আবেগের সহিত উপস্থাপন করতে হয় । যাহাই হোক অবচেতন মনে আমরা সেলিব্রেটিদের অনুকরণ করি । যেকোনো প্রোডাক্ট ব্র্যান্ডিং/ এডভারটাইজমেন্ট হচ্ছে নামিদামি সেলিব্রেটি বা তারকাদের মাধ্যমে । যাতে করে সেই প্রোডাক্টগুলো সহজে তৃণমূল পর্যায়ে পৌঁছায় । ঠিক তেমনি সচেতনতামূলক শ্লোগান – মাস্ক পড়ুুন , ঘন ঘন হাত ধৌত করুন, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন এই শ্লোগানগুলো যদি নামিদামি কোন জনপ্রিয় সেলিব্রেটি, নাট্যশিল্পী, চলচিত্রের পরিচিত ব্যক্তি দ্বারা ব্র্যান্ডিং/ এডভারটাইজমেন্ট করা হয় তাহলে তৃণমূল পর্যায়ের মানুষগুলোর কাছে সহজে গ্রহণযোগ্য হয় । কারন মানুষ অবচেতন মনে সেলিব্রেটিদের অনুকরণ করে ।
### আমাদের নিজেদের সচেতন হতে হবে । মাস্ক পড়ুুন , ঘন ঘন হাত ধৌত করুন, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন শ্লোগানগুলো যদি সরকারী, বেসরকারি গণমাধ্যমের সাহায্যে অধিকতর জনপ্রিয় তারকাদের মাধ্যমে প্রচার বা ব্র্যান্ডিং/এডভারটাইজমেন্ট করা যায় তাহলে আশা করি এই দেশ হবে করোনামুক্ত বাংলাদেশ ।
– নাহিদা আলম ।