“আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস” আজ। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও উদযাপিত হবে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস। সকাল ১০টায় ‘দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে সুশাসন, নিশ্চিত করবে টেকসই উন্নয়ন’ স্লোগানে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে দিবসের অনুষ্ঠান শুরু হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পূর্বপ্রস্তুতি নিশ্চিত করার কারণে আজ প্রাকৃতিক দুর্যোগে জানমালের ক্ষয়ক্ষতি ন্যূনতম পর্যায়ে নামিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। বাংলাদেশের ভূ-প্রকৃতি, সম্পদ, সম্ভাবনাকে বিবেচনায় নিয়ে প্রণীত ১০০ বছরের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা ‘ব-দ্বীপ পরিকল্পনা-২১০০’-এ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনাকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। দেশের জনগণকে উন্নয়নের অংশীদার করে তাদের জীবনমানের উন্নতির জন্য সরকার কাজ করছে। প্রতিটি গৃহহীন মানুষকে দুর্যোগ সহনীয় ঘর নির্মাণ করে দেয়া হচ্ছে। গ্রাম শহরের সুবিধা পৌঁছানোর লক্ষ্যে গ্রামীণ অবকাঠামো টেকসইভাবে নির্মাণের জন্য সম্প্রতি ৫৭৮৫ কিলোমিটার হেরিংবোন বন্ড রাস্তা, ২৬,৩৩১টি সেতু-কালভার্ট নির্মাণ করা হয়েছে। এ ছাড়া দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে ২৩০টি বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র ও ৩২০টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে। ৪২৩টি বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র, ৬৪ জেলায় ৬৬টি জেলা ত্রাণ গুদাম কাম দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা তথ্য কেন্দ্র স্থাপন এবং ৫৫০টি মুজিব কিল্লা নির্মাণ, সংস্কার ও উন্নয়ন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। তিনি বলেন, নদীভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য বিশেষ কর্মসূচি চালু করেছি। এ জন্য ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।